মুহাম্মদ আবু বকর ছিদ্দিক,রামু :
রামুতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা করোনা প্রতিরোধে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।

জানা যায়, বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস (কোভিট-১৯) বিশ্বের মানুষেরা আক্রান্ত ও মৃত্যুর কবলে পড়লে তারই ধারাবাহিকতায় ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়।এরপর থেকে বাংলাদেশে নতুন আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।১৭ মার্চ ছিলো মুজিব শতবর্ষ উদযাপন।কিন্তু করোনার আতঙ্কে উক্ত আয়োজন সীমিত করা হয়।এর ফলশ্রুতিতে রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমার বিচক্ষণতায় করোনা প্রতিরোধে রামুতে সর্বপ্রথম ১৬ মার্চ করোনার রেড এলার্ট জারির মাইকিং করা হয়। এরপর থেকে সীমিত আকারে দোকানপাট খোলা বন্ধ থাকলেও দুরত্ব বজায় রেখে চলাফেরার বিভিন্ন বিধিনিষেধ প্রচারণায়ও রামু উপজেলা প্রশাসন।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে কক্সবাজার জেলা কে লকডাউন ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন। রামুর জনসাধারণ কে করোনা মুক্ত রাখতে রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা রামুর ১১ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার গ্রামগঞ্জ সহ এমনকি দুর্গম এলাকা ব‍্যাঙডেবায় ওষুধপত্র ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। এবং ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে । তিনি নিজে গাড়ি চালিয়ে পুরো উপজেলায় করোনা ভাইরাস সংক্রমরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি, লক্ষ্যে অভিযান ও চালান।
একদিকে ত্রাণ বিতরণ আর অন্য দিকে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এবং এক পর্যায়ে রামু ইউএনও ফেসবুক আইডিতে হৃদয়বিদারক স্ট‍্যাটাসের মাধ্যমে উনার শিশুকন‍্যা সহ সহধর্মীনি অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও করোনা প্রতিরোধে অভিযান চলমান রাখেন।এক পর্যায়ে তিনি বলেন রামুই আমার পরিবার রামুই আমার সংসার।এতো কষ্ট করার পরও কিছুইতে রামুর মানুষ বুঝতেছেনা করোনা ভাইরাস এবং একবার হলে বুঝবে।এরপরও আমি সকল কে অনুরোধ জানাই আপনারা যার যার অবস্থান থেকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে সচেতন ও সতর্ক থাকবেন। এই বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সাধারণ মানুষের আরো বেশি সচেতন হওয়া জরুরী। এই কঠিন সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপদেশ এবং সরকারের নির্দেশনাগুলো মেনে চলা বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমার, আপনার, সবার দায়িত্ব। তিনি আরো বলেন, করোনার সচেতনায় যেমন কাজ করে যাচ্ছি তেমনি কর্মহীন হত দরিদ্র মানুষকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সামগ্রী ও অর্থ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি এবং সরকারের নির্দেশনা না আসা পযর্ন্ত আমার অভিযান চলবে।

উল্লেখ্য , সরকারে’র নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী ১৮ মে বিকাল ৪ টা হতে সমস্ত মার্কেট,শপিংমল,দোকানপাট পূনরায় নির্দেশনা না দেওয়া পযর্ন্ত বন্ধ রাখার জন্য সকলকে অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় রামু উপজেলা প্রশাসন পক্ষে থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।